এই সংস্থার নাম হবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন। সংক্ষেপে ‘ক্র্যাব’ । ইংরেজিতে : Crime Reporter’s Association of Bangladesh ms‡ÿ‡c (CRAB)
সংস্থার বর্তমান ঠিকানা হবে ৮৪/এ, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০ । তবে এই ঠিকানা পরিবর্তিত হলে ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
সংস্থার কর্ম এলাকা ঢাকা জেলায় সীমাবদ্ধ থাকবে। নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এর কর্মপরিধি বাংলাদেশের অন্য জেলায় বা সমগ্র বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করা যাবে।
এ সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা হিসাবে নিবন্ধীত হবে।
ক) রাজধানী ঢাকায় কর্মরত সব জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, দেশি-বিদেশি বার্তা সংস্থা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিও এবং আঞ্চলিক দৈনিকের ঢাকা ব্যুরো অফিসে ‘অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং’-এ পেশাদারিত্বের সাথে সার্বক্ষণিক কর্মরত রিপোর্টারদের নিয়ে গঠিত হবে এ সংগঠন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকেই সরকার থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। ‘বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন।
ক) সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতা।
খ) সংগঠনের সদস্যদের পেশাগত মান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিভা বিকাশ ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সহযোগিতা বাড়ানো।
গ) সংগঠনের সদস্যদের জন্য কল্যাণকর কর্মসূচি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ।
ঘ) সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। ঙ) উপরে উল্লেখিত লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছাড়াও সংস্থা পরবর্তীতে সময়ের সাথে সংগতি রেখে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর তফসিলে বর্ণিত কার্যক্রমসমূহের মধ্য থেকে কর্মসূচী গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা বাস্তবায়িত করতে পারবে।
এই সংগঠনের একটিমাত্র প্রতীক বা লোগো থাকবে। লোগোতে ওপরের অংশে অর্ধ বৃত্তাকারে বাংলায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন এবং নিচের অংশে অর্ধ বৃত্তাকারে ইংরেজিতে ঈৎরসব জবঢ়ড়ৎঃবৎ’ং অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ইধহমষধফবংয লেখা থাকবে। লোগোর বাম পাশে বড় হাতের (ক্যাপিটাল লেটার) ইংরেজি অক্ষরে ঈজঅই লেখা থাকবে। বৃত্তাকার লোগোর বাইরের অংশে ডান পাশে অর্ধ বৃত্তাকারে সবুজ রঙের, এর ভেতরে সাদা রঙের, এর ভেতরে কালো রঙের এবং ভেতরে লাল রঙ থাকবে। লাল রঙের মাঝখানে ঊর্ধ্বমুখী সাদা রঙে কলমের নিব থাকবে; যা সাংবাদিকতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হবে। বৃত্তের মধ্যে লাল ও সবুজ রঙ জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে। সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলার মধ্য দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে লোগোর সাদা ও কালো রঙ।
এই সংস্থায় ৪ (চার) প্রকারের সদস্য হওয়ার সূযোগ থাকবে।
ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, খ) আজীবন সদস্য, গ) পৃষ্ঠপোষক সদস্য ও ঘ) সাধারণ সদস্য
ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য :
যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্ঠা ও শ্রমের বিনিময়ে এই সংস্থা গঠিত হয়েছে তারা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন । প্রতিষ্ঠাকালে তাদের নিয়ে একটি তালিকা গঠন করা হবে। সংস্থার বিলুপ্তিকাল পর্যন্ত এই তালিকার হেরফের হবে না । তাদের নাম সংস্থা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আজীবন সংরক্ষণ করবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে অন্য যে কোন প্রকার সদস্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে । তাদের মাসিক চাঁদা দিতে হবে ।
খ) আজীবন সদস্য :
কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে যে সকল ব্যাক্তিবর্গ সংস্থার উন্নতিকল্পে এককালীন কমপক্ষে ১০,০০০/= (দশ হাজার ) টাকা অথবা সমমূল্যের সম্পদ সংস্থার তহবিলে অনুদান হিসাবে প্রদান করবেন তারা আজীবন সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। আজীবন সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে। তাদের মাসিক চাঁদা দিতে হবে না। সাধারণ পরিষদ এককালীন অনুদানের টাকার অংকের হ্রাস/বৃদ্ধি করতে পারবে।
গ) পৃষ্ঠপোষক সদস্য :
সমাজসেবামুলক কাজে সুপরিচিত কোন ব্যক্তি অথবা সমাজসেবায় আগ্রহী কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এই সংস্থার অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সাধারণ পরিষদের অনুমোদনক্রমে তিনি বা তারা পৃষ্ঠপোষক সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। পৃষ্ঠপোষক সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে না। তাদের মাসিক চাঁদা দিতে হবে না। সংস্থার উন্নতিকল্পে বা সমাজসেবামূলক কর্মসূচী প্রণয়নের জন্য তারা কার্যকরী পরিষদকে পরামর্শ দিতে পারবেন।
ঘ) সাধারণ সদস্য :
জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার ঢাকা ব্যুরো, দেশি ও বিদেশি বার্তা সংস্থা, সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে (টিভি, রেডিও) ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর সার্বক্ষণিক বা নিয়মিত অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং করছেনÑ এমন ক্রাইম রিপোর্টাররা এ সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন এই সংস্থায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে ভর্তি ফিস বাবদ ১০০০/=(এক হাজার) টাকা প্রদান করে নির্ধারিত আবেদনপত্রে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তাকে এই সংস্থার সাধারণ সদস্য হিসাবে গণ্য করা হবে। সাধারণ সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে। তাদের মাসিক ১০০০/- টাকা হারে চাঁদা দিতে হবে । সাধারণ পরিষদ মাসিক চাঁদা ও ভর্তি ফিসের টাকার অংকের হ্রাস/বৃদ্ধি করতে পারবে।
ক) জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার ঢাকা ব্যুরো, দেশি ও বিদেশি বার্তা সংস্থা, সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে (টিভি, রেডিও) ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর সার্বক্ষণিক বা নিয়মিত অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিং করছেনÑ এমন ক্রাইম রিপোর্টাররা এ সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই সুযোগ তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যারা শুধু সচিবালয় বা মন্ত্রণালয়ের বিট করার সুবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করে থাকেন। কোর্ট রিপোর্টিংয়ের সুবাদে বা সংশ্লিষ্টতায় কোনো অপরাধবিষয়ক রিপোর্ট করলেও তিনি সেগুলো দেখিয়ে এ সংগঠনের সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না বা সদস্য হতে পারবেন না।
খ) সদস্য পদ পেতে আগ্রহী ক্রাইম রিপোর্টাররা সংগঠনের দফতর থেকে ফরম সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গ) সংগঠনের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই ন্যূনতম স্নাতক হতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
ঘ) সদস্য পদের আবেদনপত্রের সঙ্গে দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বছরে স্বনামে প্রকাশিত ৬ (ছয়টি) বিশেষ প্রতিবেদনের কাটিং; বার্তা সংস্থা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত ক্রাইম রিপোর্টারদের স্বনামে ৬ (ছয়টি) নিউজের প্রিন্ট কপি এবং রেডিও ও টেলিভিশনে কর্মরত রিপোর্টারদের ৬ (ছয়টি) প্যাকেজের স্ক্রিপ্টসহ সিডি জমা দিতে হবে। রিপোর্টের শেষে থাকা কোনো সংক্ষিপ্ত নাম বা ইনিশিয়ালের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঙ) আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রাইম রিপোর্টারের পেশায় নিয়োজিত থাকার স্বপক্ষে নিয়োগপত্রের ফটোকপি কিংবা সম্পাদক বা বার্তা সম্পাদকের স্বাক্ষরকৃত প্রত্যয়নপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ৩ (তিন) কপি ছবি জমা দিতে হবে। এ ছাড়াও তিনি কবে থেকে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে কাজ শুরু করেছেন তার প্রমাণ হিসেবে জয়েনিং লেটারের ফটোকপি (সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রশাসনিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা সত্যায়িত) জমা দিতে হবে।
চ) সদস্য পদের জন্য জমাকৃত আবেদনপত্রগুলো সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করবে ৫ (পাঁচ) সদস্যের একটি বাছাই কমিটি। কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে ৪ (চার) এবং সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে ১ (এক) জনকে নিয়ে বাছাই কমিটি গঠিত হবে। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হবেন বাছাই কমিটির আহ্বায়ক। কার্যনির্বাহী কমিটির ১ (এক) নম্বর সদস্য হবেন সদস্য সচিব। বাছাই কমিটি বছরে দুই থেকে তিনটি বৈঠকে বসে সদস্য পদের আবেদনপত্রগুলো সতর্ক ও নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করে সদস্যপদ প্রদানের সুপারিশ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) জনকে নতুন সদস্য পদ দিতে পারবে। কোনোভাবেই এটা ৫ (পাঁচ) জনের বেশি হবে না। তা ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটিকে প্রতি বছর সদস্যপদ দিতেই হবেÑ এমন কোনো বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। ৫ (পাঁচ) জনের বেশি সদস্য পদ দেওয়া হলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা বাতিল হয়ে যাবে।
ছ) প্রাথমিক বাছাই শেষে নতুন সদস্যদের নামের খসড়া তালিকা কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে পেশ করতে হবে। একই সময়ে তা সাধারণ সদস্যদের অবগতির জন্য ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সংগঠনের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিতে হবে। খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোনো সদস্যের ব্যাপারে সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ, আপত্তি কিংবা কোনো মতামত থাকলে তালিকা প্রকাশের ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে তা লিখিতভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবরে জানাতে হবে। তবে এই আপত্তি কী কারণে সেটি সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। নোটিশ বোর্ডে নতুন সদস্য পদের খসড়া তালিকা প্রকাশের ৭ (সাত) দিন পর কার্যনির্বাহী কমিটি সভা ডেকে অভিযোগ, আপত্তি ও মতামতের বিষয়টি পর্যালোচনা করে নতুন সদস্য পদের তালিকা চূড়ান্ত করবেন। সদস্য পদ লাভের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর তা চিঠি দিয়ে নতুন সদস্যদের সদস্য প্রাপ্তির বিষয়টি কার্যনির্বাহী কমিটি জানিয়ে দেবেন। সদস্য পদ প্রাপ্তির তালিকাটি একই সঙ্গে নোটিশ বোর্ডে উপস্থাপন করতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) জনকে সদস্য পদ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সরাসরি কাউকে স্থায়ী সদস্য পদ দেয়া যাবে না।
জ) সদস্য পদ লাভের জন্য কেউ যদি জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয় কিংবা সদস্য পদের আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য কিংবা ভুয়া বা জাল কাগজপত্র সরবরাহ করেন, তা হলে তার সদস্য পদ লাভের আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এবং তিনি আজীবনের জন্য সংগঠনের সদস্য পদ লাভের সুযোগ হারাবেন। এমনকি সদস্য পদ পাওয়ার পরও যদি জাল-জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তা হলে নির্বাহী কমিটি তার সদস্য পদ বাতিল করতে পারবেন।
ক) কার্যকরী পরিষদের সভাপতির নিকট যে সদস্য নিজে সদস্যপদ বাতিলের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
খ) বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি আদালত কর্তৃক আবার উক্ত ঘোষণা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
গ) ৬ (ছয় ) মাসের মাসিক চাঁদা বকেয়া থাকার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি ৬ (ছয় ) মাসের মাসিক চাঁদা পরিশোধ করে পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
ঘ) মেডিক্যাল বোর্ড বা বিএমডিসির সনদপ্রাপ্ত ডাক্তার দ্বারা কোন সদস্য উন্মাদ / পাগল বলে ঘোষিত হওয়ার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি মেডিক্যাল বোর্ড দ্বারা আবার সুস্থ বলে ঘোষণা করার পর তিনি পুণরায় সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
ঙ) বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে যিনি সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি উচ্চতর আদালতের মাধ্যমে উক্ত সাজা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর পুণরায সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
চ) অন্যান্য কারণে কারো সদস্যপদ বাতিল হলে যদি তিনি পুণরায সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন তাহলে তার সদস্য প্রদানের বিষয়টি কার্যকরী পরিষদে উত্থাপিত হবে। কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক আবেদন অনুমোদিত হলে তিনি পুণরায় সদস্য হতে পারবেন।
গঠনতন্ত্রের ৯ নং ধারায় বর্ণিত কারণে বা অপর কোন বিশেষ কারণে সংস্থার কোন সাধারণ সদস্য অথবা কার্যকরী পরিষদের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন অনুভূত হলে অভিযোগকারীকে/অভিযোগকারীদেরকে কার্যকরী পরিষদের সভাপতির নিকট লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক দরখাস্ত করতে হবে। বিষয়টি কার্যকরী পরিষদের পরবর্তী সভায় উত্থাপিত হবে। কার্যকরী পরিষদ অভিযুক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবে অথবা প্রয়োজন মনে করলে কার্যকরী পরিষদের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন সদস্যদের নিয়ে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করবে । উক্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এর ভিত্তিতে কার্যকরী পরিষদ সভায় বসে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
সংস্থার সকল কার্যাবলী সাধারণ পরিষদ ও কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হবে।
ক) সাধারণ পরিষদের গঠন ও কর্মপরিধি :
১) সংস্থার সকল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাধারণ সদস্য এবং আজীবন সদস্যদের নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে।
২) সাধারণ পরিষদ সংস্থার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবে।
৩) সাধারণ পরিষদ সংস্থার নীতি নির্ধারণী ভূমিকা পালন করবে।
৪) সাধারণ পরিষদের নিকট কার্যকরী পরিষদকে জবাবদিহি করতে হবে।
৫) সাধারণ পরিষদ কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন ও কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করবে।
৬) গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সাধারণ পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাতে হবে।
৭) কার্যকরী পরিষদ কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদ উক্ত ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিবে। সাধারণ পরিষদ ব্যর্থ হলে এক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
খ) কার্যকরী পরিষদ :
কার্যকরী পরিষদ সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিষদ। সংস্থার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ১৫ (পনের) সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে। কার্যকরী পরিষদের কাঠামো নিম্নরূপ হবে ।
ক্রঃ নং পদের নাম পদ সংখ্যা
১ ২ ৩
১ সভাপতি ০১ জন
২ সহসভাপতি ০১ জন
৩ সাধারণ সম্পাদক ০১ জন
৪ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ০১ জন
৪ অর্থ সম্পাদক ০১ জন
৪ সাংগঠনিক সম্পাদক ০১ জন
৪ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ০১ জন
৪ দফতর সম্পাদক ০১ জন
৪ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ০১ জন
৫ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ০১ জন
৬ আইন ও কল্যাণ সম্পাদক ০১ জন
৬ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ০১ জন
৬ কাযনর্বিাহী সদস্য ০৩ জন